একাত্তর নিউজ ডেস্ক :
১৫ই ডিসেম্বর পীরে কামেল, হাফেজ হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আলী শাহ্ ইরানী ৯১তম মৃত্যু বাষির্কী। ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ইরানের ফিরোজাবাদের অধিপতি বাদশাহ ফিরোজ শাহ্ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব ও কৈশোরে ফিরোজাবাদের মক্তবে শিক্ষা লাভ করেন। বীরত্বের জন্য উনার নামকরণ করা হয় শের মোহাম্মদ। ফিরোজাবাদের মুসাফির খানায় উনার মুরশিদ কামেল দরবেশ সাঈদা বাদী (রহঃ) এর সাথে উনার সাক্ষাৎ হয়। দ্বীনের ও ইসলামের প্রচার প্রসার এর জন্য ওনার সঙ্গী হতে চান। প্রথমে ওনার মুরশিদ অমত হলেও, পরবর্তীতে ওনার সঙ্গী করতে রাজি হন। মোহাম্মদ আলী শাহ্ ওনার মায়ের অনুমতি নিয়ে ওনার সঙ্গী হিসাবে বেড়িয়ে পড়েন। ওনার মুরশিদ পরবর্তীতে ওনার নাম পরিবর্তন করেন। শের মোহাম্মদ থেকে শের বাদ দিয়ে মোহাম্মদ আলী শাহ্ নাম রাখেন।
মোহাম্মদ আলী শাহ্ ১৮৯০ দশকে বিভিন্ন দেশ বিদেশ ভ্রমণ, করে সর্বশেষ আফ্রিকা কেপটাউন থেকে জাহাজে করে কলকাতা বন্দরে আসেন। কলকাতা বন্দর থেকে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার যুগ্নিপাশা,ও পায়গ্রাম কসবা গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে ওনার সাক্ষাৎ হয়। উনাকে অনুরোধ করেন, ওনাদের গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য। উনাদের অনুরোধ গ্রহণ করেন এবং এ অঞ্চলেই ওনার প্রথম আগমন ঘটে। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে নওয়াপাড়া পীরবাড়িতে খানকা শরীফ, মুসাফির খানা ও পীরবাড়ী শাহী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে ১৯০৭ সালে পীরবাড়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন। দক্ষিণবঙ্গের দ্বীন ইসলাম প্রচারে প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
মোহাম্মদ আলী শাহ্ ইরানীর, চার পুত্র সন্তান, প্রথম পুত্র, হামিদ শাহ্ (রহঃ) কিশোর বয়সে পাকিস্তানের করাচীতে ইন্তেকাল করেন,করাচীতে দাফন করা হয়। দ্বিতীয় পুত্র, খাজা আবদুল মজিদ শাহ্, (রহঃ) তৃতীয় পুত্র খাজা সাইদ শাহ্, (রহঃ) এবং ছোট পুত্র, খাজা আমিন শাহ্, (রহঃ)। মোহাম্মদ আলী শাহ্ ইরানী ১৯৩০সালে ১৫ই ডিসেম্বর, আরবি মাস ২৪ রজব ১৩৪৯হিঃ ইন্তেকাল করেন।