নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করে এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে রাজু আহমেদ-71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

রাসেল মাহমুদ,একাত্তর নিউজ:

নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে যাতায়াত অনুপযোগী ৩টি কাঁচা রাস্তা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার করে গ্রামবাসীর কাছে রীতিমত জনপ্রিয় ও জনদরদী হয়ে উঠেছেন রাজু আহম্মেদ রাজ নামের রূপদিয়ার উদীয়মান এক তরুণ ব্যবসায়ী।

 

সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলার বেশ কয়েক’টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছে পর উপকারী, জনদরদী হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তরুণ এই ব্যবসায়ী। তার সম্পর্কে রামনগর, নরেন্দ্রপুর, কচুয়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানাগেছে- এসব ইউনিয়নের বহু ভবঘুরে বেকার যুবক’কে কর্মসংস্থান করে দিয়েছে ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ।

 

তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাওছার এন্টারপ্রাইজ, কাওছার ট্রান্সপোর্ট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৪০-৫০ জন যুবক এখন কর্ম করছে।

 

উদার মনের তরুণ এই ব্যবসায়ী সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর দফাদার পাড়া জামে মসজিদে যাতায়াতের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি দির্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে থাকলেও চেয়ারম্যান, মেম্বার’রা রাস্তা’টি সংস্কার বা মেরামতে উদ্যোগ না নেয়ায় মসজিদে আসা-যাওয়া মুসল্লী ও মহল্লাবাসীদের বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই দূর্ভোগের কথা জান্তে পেরে রাজু আহম্মেদ নিজ অর্থে ও উদ্যোগে প্রায় ৩’শ ফুট রাস্তা মাটি ফেলে সংস্কার করে দিয়েছে। একই সাথে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের গোপালপুর পশ্চিমপাড়ার হামিদ গোলদারের বাড়ির সামনে থেকে নাজমুলের বাড়ি পর্যন্ত একটি জরাজীর্ণ মাটির রাস্তার দু’পাশে মাটি ভর্তি বস্তাদিয়ে বাঁধ দিয়ে সংস্কার করে দেন। এছাড়া ৩নং ওয়ার্ডের ছিলুমবাড়িয়া আব্দুর মালেক বিশ্বাসের বাড়ির সামনে থেকে রিপন ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় শ’ফুট রাস্তাও সংস্বার করেন। স্থানীয়রা বলেন অত্র স্থানের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন মেরামত বা সংস্কার না করায় জনৈক সফিক এর পুকুরে রাস্তার মাটি ধুয়ে সামান্য ভ্যান, রিকসা পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারত না চেয়ারম্যান, মেম্বার এই রাস্তা সংস্কার না করলেও রাজু ভাই পুকুরে বাঁধদিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযুক্ত করে দিয়েছে। সরেজমিনে বলরামপুর, নরেন্দ্রপুর ও ছিলুমবাড়িয়ার এই রাস্তা গুলো মাটি দিয়ে সংস্কার করে এলাকার মানুষের চলাচলের উপযোগী করে তুলছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, ইউনিয়নের অন্যান্য স্থানের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও এখনো অবহেলিত এই রাস্তা গুলো। গ্রাম থেকে বাজারে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত জনসাধারণ যাতায়েত করে। এই রাস্তাটি নিয়ে বিপাকে পড়েছিলো স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। রাস্তাটি গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপদজ্জনক হয়ে পড়ে। যা প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে জনদুর্ভোগের। রাস্তা গুলো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে।

 

এব্যাপারে ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ বলেন, গ্রামের মানুষের চলাচলের কষ্ট ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমি এ ইউনিয়নের সন্তান হিসেবে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব অবহেলিত এই রাস্তা গুলো মেরামত করে দিয়েছি।

Please follow and like us: