শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভৈরব নদের বিভিন্ন স্থানে পলি জমে চর পড়ে দেশের অন্যতম নৌবন্দর যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া অচল হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের উদাসীনতায় নদী দখলদের কবলে পড়ে এখন মৃত্যুর মুখে ভৈরব নদ । এভাবে চলতে থাকলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে নওয়াপাড়ায় নৌ চলাচল।
ফলে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নওয়াপাড়া নৌবন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা সমগ্র ব্যবসা- বানিজ্য। বেকার হয়ে পড়বে এর সাথে জড়িত হাজার হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক ।
রেলপথ, সড়কপথও নৌপথ সমন্বয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গড়ে ওঠা শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগর নওয়াপাড়া এখন দেশের বৃহত্তম ও প্রথম শ্রেণীর নৌবন্দর।
নদী পথে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত কার্গো, বলগেট, ট্রলার বোঝাই বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য শস্য, পাথর, কয়লা, সারসহ নানা প্রকারের দ্রব্য সামগ্রী আসে ও খালাস হয়। তারপর এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য সরবরাহ করা হয়।
সরেজমিনে দেখলে নওয়াপাড়া ভৈরব সেতু থেকে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত প্রায় ২ নাটিক্যাল নদের তীরে অধিকাংশ স্থানেই চর জেগে ও নব্যতা হারিয়ে গতিপথ ছোট হয়ে গেছে। জোয়ারের সময়ও মালবাহী কার্গো জাহাজ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে শুস্ক মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। তার সাথে যোগ হয়েছে অবৈধ দখলের মহা উৎসব।
দখলদাররা প্রথমে নদীতে অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে সেখানে বালু / মাটি দিয়ে ভরাট করে, পরে সুযোগ বুঝে সেখানেই তৈরি করে স্থায়ী স্থাপনা। এর ফলে নদের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবার পাশাপাশি আকার ও ছোট হয়ে যাচ্ছে। নদের নাব্যতা কমে ও গতি পথ ছোট হওয়ায় পণ্য নিয়ে আসা কার্গোগুলিকে খালাসের জন্য জোয়ার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সময়মতো খালাস না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন আমদানীকারকরা।
বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার দিয়ে নদী খনন চলছে, তবে যেভাবে খনন কাজ চলছে তাতে নদীর নাব্যতা ফিরে আসা আদৌ সম্ভব না। নদী দখলদার মুক্ত করা ও সঠিক ভাবে নদী খনন না হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে পণ্যবাহী নৌ চলাচল । এতে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে নওয়াপাড়া বাজারের সকল প্রকার ব্যবসা বানিজ্য।