![](https://www.bangladeshtoday.net/wp-content/uploads/2019/03/PM_4_16.03.2019_Kallol-Pix-480x250.jpg)
শনিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে গণভবেন পৌঁছান হল সংসদের ২৩৪ এবং ডাকসুর কেন্দ্রীয় ২৫ জনসহ ২৫৯ জন নেতা।
ডাকসু ভিপির বক্তব্য দেয়ার পর আমন্ত্রিত নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বক্তব্য রাখেন ডাকসু সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও বক্তব্য রাখেন।
শনিবার বেলা ২টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আসতে শুরু করেন ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি বাসে তারা গণভবনে পৌঁছান।
সবার শেষে বেলা ৩টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে গণভবনে পৌঁছান ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। ওই গাড়িতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনও ছিলেন।
গত ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ডাকসু এবং হল সংসদের নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্র নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন শনিবার। পরে ভিপি নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানীসহ অন্য নবনির্বাচিত নেতারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ডাকসুতে ২৫টি পদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জিএস ও এজিএসসহ ২৩টিতেই জয়ী হন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর ভিপি এবং ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এজিএস নির্বাচিত হন।
এছাড়া, এ নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সংগঠন ছাত্রদল খুবই খারাপ ফল করে। ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে তারা অধিকাংশ পদে জয়ী হলেও এবার সংগঠনটি একটি পদও নিজেদের করে দিতে পারেনি। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের মধ্যে ছাত্রলীগ ১২টিতে ভিপি ও ১৪টিতে জিএসসহ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বাকি ৬টি হলে ভিপি পদে এবং ৪টিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল জিতেছে।