টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা নিয়েই রঙ্গিন পোষাকে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টেস্টের সেই ভূত পিছু ছাড়েনি সফরকারীদের। টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা গতির সামনে দাঁড়াতে পারে নি ক্যারিবীয়রা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তুলেছে রভম্যান পাওয়েলের দল।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয় দলপতি রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু নেতার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাতে পারেন নি দুই ওপেনার কাইরন পাওয়েল ও শাই হোপ। শুরু থেকেই বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে যান তারা।৮ম ওভারের শেষ বলে ২৭ বলে ১০ রান করে সাকিব আল হাসানের শিকারে পরিণত হন পাওয়েল। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন শাই হোপ ও ড্যারেন ব্র্যাভো।
তাদের ১২.৪ ওভারের সেই জুটি ভাঙেন টাইগার কাপ্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলীয় ৬৫ রানের মাথায় ৬১ রানে ১৯ রান করে ফিরে যান ব্রাভো। তামিমের অসাধারণ উড়ন্ত এক ক্যাচে ব্রাভো ফিরে যান।এরপর দ্রুতই ফিরে যান ক্যারিবীয়দের আশা দেখাতে থাকা শাই হোপ। এবারও হন্তারকের ভূমিকায় মাশরাফি। ৫৯ বলে ৪৩ রান আসে হোপের ব্যাট থেকে।
হোপের বিদায়ের পর সফরকারীদের আরও চেপে ধরেন মাশরাফি, রুবেল, মিরাজরা। দলীয় ১২৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন মাশরাফি।
এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দুই টেল এন্ডার রোস্টন চেজ ও কিমো পল। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫১ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন তারা। দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় চেজকে ফেরান মুস্তাফিজ। ৩৮ বলে ৩২ রান করেন চেজ। এরপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা কিমো পলকেও সাজঘরে ফেরানোর পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুস্তাফিজের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বিশু। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৯৫ রানে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই।
৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৯৬ রান।