আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কঠিন লড়াইয়ের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এই কঠিন নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে হেরে গেছে বিএনপি। দল থেকে তাদের যোগ্যতাহীন ব্যক্তিদের দেয়া মনোনয়ন বাতিলের মাধ্যমে এই পরাজয় হয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, যারা সঠিকভাবে মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে পারে না, নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করার কোনো যোগ্যতা নেই, সংসদ সদস্য হওয়া তো দূরের কথা। এছাড়া দুর্নীতিবাজ লোক দিয়ে ভর্তি এই স্বাধীনতাবিরোধী দলটিতে অযোগ্য ব্যক্তিদের ছত্রছায়া বেশি। এসব দোষের কারণে বিধিনিষেধ অনুসারে তাদের মনোনয়ন বাতিল করছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরা-৬নং সেক্টরে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বিজয় দিবস শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় হাসপাতালটির অন্তঃবিভাগ (ইনডোর) চালু করা হয়। ২০১৫ থেকে বহির্বিভাগ নিয়ে চলছিল হাসপাতালটি।
১০০ শয্যাবিশিষ্ট ইনডোরের উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আসন্ন এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে দেশ স্বাধীনতার পক্ষের না বিপক্ষের শক্তি দ্বারা পরিচালিত হবে। এ কারণে এ নির্বাচন অনেক কঠিন নির্বাচন। প্রথম খেলায় বিএনপি যেহেতু হেরে গেছে তখন বলা যায়, যায় নিশ্চয়ই শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জয়ী হবে।
ঐক্যফ্রন্টকে ৭১’র ঘাতক দালালদের দল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী সব ঘাতক দালালরা এক হয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। আমার ঘৃণা হয় ড. কামাল-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর প্রতি। তারা কীভাবে বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে হাত মেলায়। তারা বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক ছিলেন।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আমিরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে মোহাম্মদ নাসিম হাসপাতালটির কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। বর্তমানে হাসপাতালটিতে নতুন ১০০ শয্যা চালুর পাশাপাশি এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৬৪ জন চিকিৎসক এবং ২৬ জন নার্স।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১০ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। ১ বছর পর ২০০২ সালে আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি হাসপাতাল থেকে তাদের সহায়তা তুলে নেয়। ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে আমেরিকান হসপিটাল কনসোর্টিয়ামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতালে উন্নীত করার কথা থাকলেও তা না হওয়ায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের জুন মাস পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। পরে আদালতের রায়ে হাসপাতালটি ফেরত পায় সরকার। ২০১৫ সালে শুধুমাত্র আউটডোর নিয়ে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হয়।