সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। আগামী বছর থেকে প্রথম পর্যায়ে দেশের ১০০টি বিদ্যালয়ে পাইলটিং হিসেবে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন এসব তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমাতে আমরা প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সে লক্ষ্যে আমরা গত ছয় মাস থেকে কাজ করেছি। ২০২০ সাল থেকে পাইলটিং হিসেবে ১০০ বিদ্যালয়কে এর আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, এসব বিদ্যালয়ে মাসিক ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত উত্তীর্ণ করা হবে। তবে চতুর্থ শ্রেণি থেকে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
সচিব বলেন, পাইলটিং কার্যক্রম শেষ হলে ২০২১ সাল থেকে দেশের ৬৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা বাতিল করে ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সাল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠেছে। এসব চিহ্নিত করা হচ্ছে। কিন্ডারগার্টেনগুলোকে আইনের আওতায় আনতে তালিকা তৈরি করছি। এ জন্য ৮টি টাস্কফোর্স টিম কাজ করছে। যারা নিবন্ধনের আওতায় আসবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেয়া হবে। নিবন্ধন না থাকলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।