যশোরে এবার কুরবানির ঈদে চাহিদার তুলনায় গরুর উৎপাদন বেশী

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128
 একাত্তর নিউজ ল্লডেস্ক : কোরবানির বাজার ধরতে প্রস্তুত যশোরের গরু খামারিরা। ভালো দামের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে ব্যক্তি পর্যায়েও হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে অনেক গরু। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু ও ছাগল মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। খামারের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম হলেও চাহিদার থেকে গরু-ছাগল পালন হয়েছে অনেক বেশি।

ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে যশোরে খামার স্থাপনের মাধ্যমে গরু পালন বেড়েছে। ফলে সারা বছরের চাহিদা মেটাচ্ছে এসব খামারে হৃষ্টপুষ্ট করা গরু। তবে কোরবানির বাজার ধরতে খামারিদের বাড়তি উদ্যোগ চোখে পড়ার মত। এ বছর জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১১ হাজার ছোট-বড় খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করা হচ্ছে হাজার হাজার গরু ও ছাগল।

পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে ব্যক্তি পর্যায়েও হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে অনেক গরু। দিনরাতের অবিরাম পরিচর্যায় মোটাতাজা করা গরু-ছাগল এখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত। খামারিদের আশা ঈদের বাজারে ভালো দাম পাবেন।

এসব খামারকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি যেসব খাবার ও ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে কোরবানির মাংস হবে নিরাপদ।

যশোর সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপন্বেশর রায় বলেন, এখানে কোনো ধরণের হরমোন কিংবা অন্যকোনো স্টেরয়ড ইনজেকশন ব্যবহার করা হচ্ছে না।

খামারের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম হলেও চাহিদার থেকে গরু-ছাগল পালন হয়েছে অনেক বেশি। ফলে বাড়তি পশু জেলার বাইরেও বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের সার্বিক উৎপাদনে কোনো ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের তুলনায় এ বছর চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি আছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর কোরবানির জন্য জেলার ১০ হাজার ৮২৭টি খামারে ৭০ হাজার গরু-ছাগল পালন করা হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ৩১ হাজার গরু এবং ৩৯ হাজার ছাগল।

Please follow and like us: