শেখ গফ্ফার রহমান, একাত্তর নিউজ টুয়েন্টিফোর যশোর:
যশোরে চলমান লকডাউনে হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ খাবারের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছিন্নমূল ও অভাবী মানুষ ও বেওয়ারিস কুকুরের খাবারের সংগ্রহ করা কঠিন হয়েছে পড়েছে। অনহারে তাদের দিন পার করতে হচ্ছে। স্বাভাবিক অবস্থার মত কেউ তাদের খাবার দিচ্ছেন না। তাদের কথা চিন্তা করে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন শহরের চার খাম্বার বাসিন্দা খবির শিকদারের দুই মেয়ে। পারিবারিকভাবে খাবার রান্না করে তারা শহরের বিভিন্ন মোড়ে বিতরণ করছে।
গত মঙ্গলবার থেকে বাইসাইকেলে যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ করা শুরু করেছে তারা। দুইদিনে চার খাম্বা, রেলস্টেশন, আশ্রম মোড় ও টিবি ক্লিনিক এলাকায় ১৫০ জন রাস্তার মানুষ ও ৮০টি বেওয়ারিস কুকুরকে খাবার দেয়া হয়েছে। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন তাদের বাবা খবির শিকদার ও মা ফিরোজা খাতুন। এই মহান কাজের উদ্যোক্তা সুমাইয়া শিকদার ইলা ও তার ছোট বোন সুরাইয়া শিকদার এশা। তারা দুইজনই বিকেএসপির ছাত্রী। সপ্তাহব্যাপী এই মহৎ কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
খবির শিকদার জানান, যশোরে করোনাভাইরাস উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সরকারিভাবে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খাবার হোটেলসহ কোন সব ধরনের মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তাই ভাসমান মানুষ ও কুকুরের খাবার নিয়ে তার দুই মেয়ে বেশ চিন্তিত, উদ্বিগ্ন। এজন্য তাদের উদ্যোগেই মূলত সপ্তাহব্যাপী খাবার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি ও তার স্ত্রী মেয়েদের সমর্থন করছেন। তাদের মা ডিম-খেচুড়ি রান্না করে দিচ্ছেন। দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে তিনি বাইসাইকেলে করে খাবার বিতরণ করছেন।
গত মঙ্গলবার প্রথমদিনে চার খাম্বা থেকে শুরু করে রেলস্টেশন এলাকা পর্যন্ত ৫০টি কুকুর ও ৮০ জন মানুষকে খাবার দেন। বুধবার চার খাম্বা ও টিবি ক্লিনিক মোড়ে ৭০ জন মানুষ ও ৩০টি কুকুরকে খাবার দেয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই কর্মকাণ্ড চালাবে বিকেএসপির এই দুই ছাত্রী।