যশোরে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে চান যারা

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

যশোর অফিস  : একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে আওয়ামী লীগ। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও শপথ নিয়েছেন। দুই একদিনের মধ্যেই নতুন মন্ত্রীসভা শপথ নিবে। এবার আলোচনায় উঠে আসছে সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য কারা হচ্ছেন। ৫০টি আসনের বিপরীতে প্রত্যেক জেলার একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী। যশোরেও একাধিক নারী নেত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
জানা যায়, যশোরের অন্তত ৪জন নারী নেত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নূর জাহান ইসলাম নীরা, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের সহধর্মিনী মমতাজ ফারুক ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারপার্সন লাইজু জামান।
দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের পরীক্ষিত নেত্রীদের মধ্যে থেকে নারী সংসদ সদস্য করার দাবি জানানো হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের রাজনীতিতে আছেন। পরীক্ষিত নেত্রীদের দল মূল্যায়ন করলে তারা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী বলেন, ঝিকরগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। কিন্তু পায়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পায়নি। এবার সংরক্ষিত নারী আসনেও মনোনয়ন প্রত্যাশী। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকেছি। আশা করি দল এবার মূল্যায়ন করবে।
নূর জাহান ইসলাম নীরা বলেন, ৩৮বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। বর্তমানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম, পায়নি। এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। এবার সংরক্ষিত নারী সংসদ পদে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশবাদী।
লাইজু জামান বলেন, এবার সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো। ২০১৪ সাল থেকে মনোনয়ন চেয়ে আসছি। এবার মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করছি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি।
আপাতত চারজনের নাম শোনা গেলেও তফশীল ঘোষণার পর প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আভাস পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত শীর্ষ নেতাদের পরিবারের সদস্য নারী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যশোরে নারী সংসদ সদস্য প্রার্থীর সংখ্যা বাড়বে। দলের জন্য ত্যাগ, রাজপথের সৈনিক, দলের শৃংখলা ইত্যাদী বিষয় বিবেচনায় নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। একজন নারী সংসদ সদস্য পদের জন্য একাধিক জেলার প্রার্থী থাকবে। সে হিসেবে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিয়ে মনোনয়ন জিততে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে জুটবে দলীয় মনোনয়ন, সেটি দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।

Please follow and like us: