যশোর নার্সিং ইনষ্টিটিউট : ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন ও উচ্চমান সহকারী কাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

জি এম অভি, যশোর অফিস:  যশোর নার্সিং ইনষ্টিটিউট ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ মোসা সেলিনা ইয়াসমিন ও উচ্চমান সহকারী মোঃ গোলাম কাদেরকে দূর্নীতি,অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ও অপকর্মের অভিযোগে সরকারি চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২১ জুলাই রোববার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ঢাকার পরিচালক (প্রশাসন) যুগ্ম সচিব শিরিন দেলহুর স্বাক্ষরিত এক আদেশে স্মারক নং ৪৫.০৩.০০০০.০০৭.২৭.০৭৬.১৯/২৮৩/১ (১৩) তারিভ ২১/০৭/১৯ ইং মোতাবেক যশোর নার্সিং ইনস্টিটিউট ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ মোসাঃ সেলিনা ইয়াসমিন (পিতা কাজী নূরুল লতিফ)কে এবং স্মারক নং ২৮৪/১ (১৪) তারিখ ২১/০৭/১৯ ইং মোতাবেক তাদেরকে সরকারি চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ জারীর প্রেক্ষিতে তারা বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। নার্সিং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, পরিচালক প্রশাসন যুগ্ম সচিব শিরিন দেলহুর স্বাক্ষরিত ২১ জুলাই রোববার এক অফিস আদেশে সাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) এর ৮/৫/১৯ তারিখ ৫৯.০০.০০০০.১৪৩.০৪.০১.২০১৮-৯১ সংখ্যক স্মারকে মোসাঃ সেলিনা ইয়াসমিন (পিতা কাজী নূরুল লতিফ) নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট যশোরের বিরুদ্ধে দূর্নীতি,অনিয়ম,অব্যবস্থাপনা ও অপকর্মের অভিযোগ প্রেরণ করা হয়। উক্ত অভিযোহ সমূহ তদন্তের জন্য ১৫/০৫/১৯ তারিখ ২১২ সংখ্যক স্মারকে গঠিত তদন্ত কমিটির ০৪/০৭/১৯ তারিখ দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮-২০১৯ শিক্ষা বর্ষে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৩জন প্রার্থীকে ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ১জন প্রার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করেছেন। আর এই ৪জনকে অবৈধভাবে ভর্তি করানোর কাজে মূলত মোঃ গোলাম কাদের (পিতা মোঃ গোলাম রব্বানী মিয়া) উচ্চমান সহকারী নার্সিং ইনস্টিটিউট রাজবাড়ী (সংযুক্তি নার্সিং ইনস্টিটিউট যশোর এর সহযোগিতা করার বিষয়টি প্রমানিত হয়। ফলে সরকারী বিধি ও স্মারক নং এফ৩২/৪৮-ইএস(এসই),তারিখ ২১ জুলাই,১৯৪৯ ধারা (গ) অনুযায়ী সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধি মালা,২০১৮ এর বিধি-৩(খ) ও ৩(ঘ) এর বিধি-১২ মোতাবেক অভিযুক্ত মোসাঃ সেলিনা ইয়াসমিন ও গোলাম কাদেরকে সরকারী চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ জারীর প্রেক্ষিতে তারা দু’জন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। যশোর নার্সিং ইনষ্টিটিউট সূত্রে জানাগেছে, চলতি অর্থ বছরে ভর্তি জালিয়াতি করে যে ৪ জন প্রার্থীকে সেলিনা ইয়াসমিন গোলাম কাদের এর সহযোগীতায় ভর্তি করে ছিল। তাদেরকে তদন্ত কমিটির আসার পূর্বে মাস কয়েক পূর্বে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। গতকাল ২১ জুলাই রোববার সকালে সেই ৪ শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে উক্ত ইনষ্টিটিউটে আসেন। তারা তাদের ছাত্রীত্ব ফেরত চান। নইলে তাদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ যে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করা হয়েছে। সেই টাকা ফেরত চাই। টাকা লেন দেন নিয়ে রোববার সকাল থেকে যশোর নার্সিং ইনষ্টিটিউটের অফিস কক্ষে হট্টগোল বেধে যায়। খবর পেয়ে যশোরে সাংবাদিকরা উক্ত ইনষ্টিটিউটে ছুটে যান। তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। সূত্রগুলো আরো বলেছেন,যে চার প্রার্থীর কাছ থেকে অবৈধভাবে উৎকোচ নিয়ে ভর্তি করেছে। তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ^াসে তারা নার্সিং ইনষ্টিটিউট থেকে বের হয়ে যান।সূত্রগুলো বলেছে,দূর্নীতির দায়ে নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন ও যশোর নার্সিং ইনস্টিটিউটে সংযুক্তি উচ্চমান সহকারী গোলাম কাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করায় গোটা নার্সিং ইনষ্টিটিউটে প্রশিক্ষন নিতে আসা সব বর্ষের শিক্ষার্থী ও নার্সিং ইনস্ট্রাক্টরদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা অবিলম্বে দূর্নীতিবাজ দু’জনকে চিরতরে বরখাস্ত করতে তাদের বিরুদ্ধে অধিক তদন্ত দাবি করেছেন। বিগত বছর গুলিতে এই দু’জন ভর্তি জালিয়াতি করে লক্ষলক্ষ টাকা উপার্জন করেছে। অবৈধভাবে উৎকোচ নিয়ে ইতিপূর্বে যাদেরকে ভর্তি করেছে। তারা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরী করছেন। তাছাড়া,এ যাবত প্রশিক্ষন নিতে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশল করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের অর্থ। এ গুলি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে এর সত্যতা। অবিলম্বে বিগত বছরগুলির রেজিষ্ট্রার দেখলে বোঝা যাবে ভর্তিজালিয়াতি করে কাদেরকে ভর্তি করানো হয়েছে।

Please follow and like us: