জুয়েল রানা আব্বাসী, ৭১ নিউজ ২৪ : যশোর সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে রুগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে টিকেট নিতে হবে। টিকেট ১০টাকা, টিকেট নেওয়ার পর, যদি রোগী ভর্তি করতে হয়। লিখা ১৫ টাকা কিন্তু টিকেট ২০টাকা। টিকেট নেওয়ার পর রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০টাকা, আর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ট্রলি দিয়ে নিতে ২০০টাকা।
৫০০টাকা হলে বেড আছে। না হয় মাটিতে।আর সাথে ফ্রী পাবেন নার্সদের জঘন্য ব্যবহার।আর রোগীর ওপর অবহেলা। রোগী ভর্তি শেষ। এবার ডাক্তারের ️পালা। ডাক্তার আসবে রোগী দেখবে। তারপর শুরু হবে পরিক্ষা – নিরীক্ষা। প্রথমে কমপক্ষে ৮-১০টি পরিক্ষা সাথে ১বস্তা স্যালাইন এবং কিছু ঔষধ। পরিক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন এবং ঔষধ চলবে।
কয়েকজন রুগীর ও ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎ কারে এসব কথা বলেন, এগুলো কি দেখার কি কেউ নাই?
রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরিক্ষা দিবে। এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হবে আর একটার পর একটা পরিক্ষা দিবে। পরিক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে। প্রতিদিন রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হবে।
সব পরিক্ষা শেষ। এবার অপারেশন এর পালা। অপারেশন করতে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার ঔষধ কিনে ডাক্তারের হাতে দিতে হবে। যাহা অফেরতযোগ্য। অপারেশনে যদি রোগী মারা যায়। টাকা এবং মানুষ সব শেষ। হাতে ভিক্ষার বাটি। আর অপারেশন যদি সাক্সেস হয়। তাহলে অপারেশন থিয়েটারের বয়কে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। এবং প্রতিদিন ড্রেসিং করার জন্য ও খাওয়ার ঔষধ কিনতে হবে। রোগী সুস্থ্য। এবার রিলিস দেওয়ার পালা। নার্সকে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে।