একাত্তর নিউজ ডেস্ক: রোহিঙ্গা সংকটের কোনো দ্রুত সমাধান নেই বলে মনে করেন জাতিসংঘের সাবেক উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মালোক ব্রাউন। এ সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিকতা: অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
মালোক ব্রাউন বলেন, এটি উদ্বাস্তুদের এক ধ্রুপদী দ্বিধা…বাস্তবতা হলো, এ (উদ্বাস্তু) সমস্যা নিজেদের দ্রুত সমাধান হতে দেয় না। এটি এক অবিচল সমস্যা।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। খবর: ইউএনবি
মালোক ব্রাউন বলেন, এ বিষয়টি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অংশের ‘অত্যন্ত গভীর ধৈর্য ও মানবিকতা’ দরকার। কারণ দেশের এক অংশে এমন আকারের উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী এক বিশাল বোঝা।
‘একটি সমাধানে পৌঁছাতে মিয়ানমারকে রাজনৈতিক চাপ দিতে শুধু জাতিসংঘ নয়, সেই সাথে রাষ্ট্রগুলোও এগিয়ে আসেনি বলে যে কথা রয়েছে তার সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করি না,’ বলেন তিনি।
![রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান দেখছেন না জাতিসংঘের সাবেক উপ-মহাসচিব](http://www.shomoyeralo.com/2019/09/07/salo_1567868542.jpg)
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর কঠিন দিনগুলোতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এ দেশকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল। ‘তাই, বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য জাতিসংঘ খুবই প্রাসঙ্গিক, যে দেশ ভূরাজনৈতিক কারণে মাঝে মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে।’
তবে তার মতে, এফএও, ডব্লিউএইচও ও আইএলও’র মতো জাতিসংঘের কিছু মূল্যবান সংস্থাকে এখন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, আইএলও বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার শিকারে পরিণত হয়েছে এবং যে উদ্দেশে এটি গঠিত হয়েছিল এখন তা পূরণ করতে পারছে না। ইউএনএইচসিআর ও ডব্লিউএফও’র মতো কিছু সংস্থা বাংলাদেশে ভালো কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগ সম্পর্কে মান্নান বলেন, ‘এটি এখনো উঠতি পর্যায়ে আছে। আমরা জানি সমস্যা হতে পারে যা আমাদের হয়তো যথা সময়ে আক্রান্ত করবে। কিন্তু আমাদের জল্পনা করা উচিত হবে না। আমি বলি যে এ ছোট ধরনের উপদ্রবের তুলনায় বন্ধুত্ব অনেক বেশি মূল্যবান। আমরা পরে এটা সমাধান করতে পারব বলে আমি মনে করি