৩ জানুয়ারী থেকে মাঠে নামবে সেনাবাহিনী

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

 

শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

আগামী ৩ জানুয়ারী থেকে ভোটের মাঠে দায়ীত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী। ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত মোট ৮ দিন মাঠে থাকবে তারা। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২৯ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী দায়ীত্ব পালন করবে।

 

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইসি জানায়, ৩০০ সংসদীয় আসনে আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

 

চিঠিতে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ারের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সীমা ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ প্রদান করা হলো।

 

♦️সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দলসমূহ ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনি বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে।

 

♦️যেসব সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনীঃ

👉 সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।

 

👉 রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা/উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হবে।

 

👉 নির্বাচনী সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।

 

👉 সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়ে যান বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।

 

👉 ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে হবে।

 

চিঠিতে জানানো হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনে আগে থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির উপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার নিমিত্তে অগ্রগামী/রেকিদল প্রেরণ করা যাবে। রেকিদল সমূহ সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। নির্বাচন উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর বিস্তারিত মোতায়েন নির্দেশিকা পরবর্তীতে প্রেরণ করা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচনে মোতায়েন সংক্রান্ত কার্যক্রম সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক সমন্বয় করা হবে।

 

২৯ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে একটি সমন্বয় সেল পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও বাহিনীসমূহ প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় সেল স্থাপন ও পরিচালনা করবে। সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার তথা সামরিক/বেসামরিক যানবাহনের জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাড়া, সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের দৈনিক ভাতা, কন্টিনজেন্সি, ক্যাম্প/বাসস্থান, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং টেলিফোন বিল নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বহন করা হবে।

Please follow and like us: