অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোল্ট্রি শিল্পের মাইল ফলক যশোরের মতিয়ারও আজিজুল হাকিম।

নাজিম,বসুন্দিয়া,যশোর :
নানা গুনের পোল্ট্রী চাষ আছে তাই সাধারন মানুষ অল্প-স্বল্প মাংশ খায়।৫০০ টাকা কেজি গরুর গোসের বাজারে ১২০/১৩০ টাকা কেজি পোল্ট্রী সস্তা ই বলতে হবে।আত্ব-কর্মসংস্থানের অন্যতম সুযোগ এই মুরগি পালন চাষ আমাদের দেশে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।একদিকে বেকারত্ব দুরীকরন অন্যদিকে সাধারন মানুষের পুষ্টি চাহিদা পুরনে দারুন ভুমিকা রাখছে এই ব্যবসা।নানা রকম ঝুকি নিয়ে আর লাভের প্রত্যাশায় অনেকে

নিজেদের সর্বস্ব বিনিয়োগ করে শত শত মানুষকে সংযুক্ত করে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে এই চাষ অবলম্বনে। তেমনী সাহসী একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান-মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ।যশোর সদরের বসুন্দিয়া মোড়ে অবস্থিত এই ব্যাবসা কেন্দ্র।মোঃ মতিয়ার রহমান এবং আজিজুল হাকিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে ছোট খাট একটি আত্ব কর্মসংস্থান।দুইজন শিক্ষিত যুবকের মিলিত মেধা আর পরিশ্রমে এগিয়ে যাচ্ছে তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যাবসাটি।নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে উঠেছে ;আধুনিক পোল্ট্রী ফার্ম এবং মডার্ন পোল্ট্রী ফার্ম নামে দুইটি ফার্ম।দুই ফার্ম মিলিয়ে মাসে প্রায় ১৫০০০ মুরগী বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি হয়।এছাড়া তাদের সাথে ব্যাবসায়িক লেনদেন করে আরো প্রায় ৭০ জন দক্ষ চাষী যারা এই ব্যবসা দিয়েই তাদের বেকারত্ব ঘুচিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা দু’মূঠো মোটা চালের ভাত খেয়ে এক প্রকার শুখেই আছে।তাছাড়া  চালিয়ে যাচ্ছেন সন্তান্দের পড়ালেখা সহ যাবতীয় সাংসারিক ব্যায়।সরদার এন্টারপ্রাইজের সাথে ব্যাবসা করে যারা তাদের মধ্যে অনেক ছাত্রও রয়েছে।এলাকার পুষ্টি চাহিদা মিটিয়েও নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত মুরগি সরবরাহ করার মত গুরুত্বপুর্ন কাজটি করছে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি।
সময়ের প্রয়োজনে এই ব্যাবসাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এই ব্যাবসা যেমন লাভজনক তেমনী ঝুকিতে ভরা। আবহওয়ার পরিবর্তন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষনের অভাবে মাঝে মাঝে সর্বস্ব হারাতে হয় এই ব্যাবসায় জড়িতদের।আশায় বুক বেধে আবার পথ চলা শুরু করে লাভের আশায়।এভাবে একটু লাভ একটু ক্ষতির দোলাচলে এগিয়ে চলছে গুরুত্বপুর্ন এই পোল্ট্রী শিল্প। সাধারন চাষীদের শুধু লাভের নয় ক্ষতিরও অংশীদার হতে হবে এই কোম্পানিদের তাহলে বেচে থাকবে এই শিল্প।পুরন হবে গরীবের পুষ্টি চাহিদা।সরকার এ বিষয়ে নানা কার্জক্রম হাতে নিতে পারে।বেকারদের প্রশিক্ষন সহ স্বল্প সুদে লোনের ব্যাবস্থা করতে পারে।সাধারন চাষী এবং পোল্ট্রী ব্যাবসায়ীরা তেমনটি প্রত্যাশা করছেন।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ শিল্প এক দিকে যেমন জিডিপি তে অবদান রাখছে তেমনি অন্যদিকে শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার  সুযোগ করে চলেছে এবং আমিষের ঘাটতিও পুরন করছে।

Please follow and like us: