আগামীকাল ৪অক্টোবর থেকে ২২দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রয় নিষিদ্ধ-71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

 

শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টার:

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ ধরা ও বিক্রয় বন্ধ থাকবে। গতকাল রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন-সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ, ম, রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোঃ মতিউর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

 

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাতকে কোনোভাবেই ধ্বংস হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনার নির্দেশনা, নজরদারি ও পৃষ্ঠপোষকতায় ভাতে-মাছে বাঙালির বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে এবং দেশের রফতানি আয় বাড়ছে।

 

মৎস্যজীবীদের স্বার্থেই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় স্বার্থ যারা ধ্বংস করতে চাইবে, তাদের বিষয়ে কোনো ধরনের বিবেচনা কিংবা অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কঠিন থেকে কঠিনতর পদক্ষেপ নিতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করব না। দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় যত কঠিন হওয়া লাগে, তত কঠিন হতে হবে। কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেয়ার অবকাশ নেই।

 

সভায় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র্যাব, নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us: