বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী সমস্যা সমাধানে বেনাপোল সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

শাহাবুদ্দিন আহমেদ,বেনাপোল : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলের সমস্যা ও সম্ভাবনা নির্ধারণের লক্ষ্যে বেনাপোল সীমান্ত পরিদর্শণ করলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। শুক্রবার সকালে তিনি বেনাপোল জিরো পয়েন্টে পৌছালে কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

পরে, আর্ন্তজাতিক চেকপোস্ট বেনাপোল পরিদর্শণ করেন তিনি। অত:পর বাংলাদেশ-ভারত আমদানি-রপ্তানি পয়েন্ট, স্থল বন্দরে বিভিন্ন শেড ও স্থাপনা পরিদর্শণ এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন করেন। বিকেলে কাস্টমস ক্লাবে অনুষ্ঠিত স্টেক হোল্ডারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
সভায়, দু’দেশের বাণিজ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
এসময় হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ দু’দেশের বাণিজ্য নিরাপত্তা ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করণ এবং সীমান্তবর্তী সব ধরণের সমস্যা-সম্ভাবনা নির্ধারণ ও বাস্তায়ন নিশ্চিত করার জন্য তিনি স্বয়ং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এসেছেন। মাঠ পর্যায় থেকে তার সংগৃহীত অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ-ভারত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত এবং সুপারিশমালা তিনি দু’দেশের সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। এসময় তিনি সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শান্তি সংহতি, নিরাপদ বাণিজ্য ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সকলের সংশ্লিষ্টতা ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূলক কুমার মন্ডল, সহকারি কমিশনার(ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মামুন কবির তরফদার, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মামুন খান, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা, যশোর পুলিশ, শার্শা উপজেলা প্রশাসন, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ, ইমিগ্রেশন পুলিশ, উপজেলা আনছার সদস্য, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ইন্দো বাংলা চেম্বার অব কমার্স ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।
সভায়, বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকরা হাই-কমিশনারের কাছে বনগাঁ কালিতলা পার্কিংয়ের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।
গত ১৯ তারিখ হতে সীমার্ন্তবর্তী এলাকায় ৭ দিনব্যাপী পরিদর্শণ ভ্রমণের চলমান ধারাবাহিতায় বৃহস্পতিবার তিনি ভোমরা-ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শণ ও স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। শুক্রবার তিনি বেনাপোল সীমান্ত এলাকা পরিদর্শণ ও স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন বলে জানালেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ কমিশনার বিল্লাল হোসেন।

Please follow and like us: