বেনাপোল চেকপোস্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট যাত্রীদের অভিযোগ

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

 

শাহাবুদ্দিন আহমেদ,বেনাপোল : আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল এর সাথে জুড়ে আছে দেশের সম্মান, মর্যদা ও ভাবমুর্তি। সেখানে স্থল বন্দর বেনাপোল কর্তৃপক্ষ সেবার নামে দেশী বিদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে ৪২.৭৫ টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অলিখিত ভাবে নেওয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দেশের ভাবমুর্তি উজ্জল করার জন্য দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের সেবা দেওয়ার নাম করে বেনাপোল চেকপোষ্টে কাষ্টমস ও ইমিগ্রেশন অফিস সংলগ্ন গড়ে তোলে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি তিন তলা ভবন। যতদুর জানা যায় তাদের অঙ্গিকার ছিল এখানে ভারতগামী আসা যাওয়া পাসপোর্টযাত্রীরা পাবে বিশ্রামের জায়গা, বাথরুম, হোটেল রেষ্টুরেন্ট এবং ট্রলি সুবিধা। কিন্তু দুর্ভাগ্য দেশের হতভাগা ভারত গমন ও প্রত্যবর্তন যাত্রীরা পাচ্ছে না কোন সুবিধা।

শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় সরেজমিন বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় দেখা যায় রোদ বৃষ্টিতে ভিজছে কয়েক হাজার পাসপোর্টযাত্রী। তাদের হাতে আছে সরকারের ৫ শত টাকার ট্যাক্স সহ বন্দরের টার্মিনাল চার্জের ৪২.৭৫ টাকার রশিদ। ভারতগামী যাত্রীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কখন প্রবেশ করবে ইমিগ্রেশনে। একবার কেউ বন্দরের টার্মিনালে প্রবেশ করলে তাদের চোখে মুখে দেখা যাচ্ছে যেন হাতে সোনার হরিণ পেয়ে গেছে।

পাসপোর্ট যাত্রীদের অভিযোগ তারা ৪৫ টাকা টার্মিনাল চার্জ দিয়ে কেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে ঘন্টার পর ঘন্টা। সবথেকে তাদের বেশী অসুবিধা হচ্ছে রুগী ও শিশু বৃদ্ধদের নিয়ে। অনেকে জরুরী চিকিৎসার জন্য ভারত গমন করার উদ্দেশ্য বেনাপোল চেকপোষ্টে এসে আটকে যাচ্ছে কয়েক ঘন্টা।

স্থানীয়রা জানান ইমিগ্রেশনের ধীর গতি জনবল সংকট রয়েছে। এর কারনেও যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন হতে পারে। তবে এর আগে কখনো এরকম অবস্থা দেখা যায়নি। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ করে গেছে। কেন, কি কারনে এখন এমন অবস্থা হচ্ছে তা আমাদের বোধ গম্য নয়।

খুলনার পাসপোর্ট যাত্রী বিপ্লব কুমার মন্ডল ( পাসপোর্ট নং বিসি-০৮৯৮৯২২) ও সৌরভ কুমার মন্ডল ( পাসপোর্ট নং বিপি ০৯৫৮৬৯৩) অভিযোগ করে বলেন আমরা ৪৫ টাকা অতিরিক্ত দিচ্ছি বিশ্রামের জায়গা পাব। কিন্তু চার্জ দিয়ে আমাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রানি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোদ বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। ৪৫ টাকা চার্জ নিয়েও আমাদের সাথে রিতিমত প্রতারনা করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

বেনাপোল চেকপোষ্টে ভারতগামী পাসর্যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার গাজিরহাট গ্রাম থেকে আসা আঁখি বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রায় তিন ঘন্টা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করতে পারছি না। আমাদের নিকট থেকে বিশ্রাম এর কথা বলে ৪৫ টাকা নিয়ে আরো কষ্ট দিচ্ছে । আমরা কেন টাকা দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকব। আমাদের বসার স্থান পানির ব্যবস্থা টয়লেট সুবিধা সবকিছুর ব্যবস্থা করার জন্য তো নেওয়া হচ্ছে এ টাকা?
এ ব্যবাপারে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বন্দরের বসার যে আসন সংখ্যা রয়েছে তার চেয়ে কয়েক গুন যাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তাদের একটু দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আমাদের সেবার মান ঠিক রেখেছি। এখানে একটানা বার্হিগমন ৮ টি ডেস্কের কাজ চলছে। কোন অফিসারের কাজের কোন গাফিলতি নাই। সার্বোক্ষনিক সকল যাত্রী সেবার কাজের পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে।

Please follow and like us: