যশোরের বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় চরম হতাশায় এলাকাবাসী71News24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

আবু তাহের, বসুন্দিয়া প্রতিনিধি:

যশোর সদর বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় চরম হতাশায় এলকাবাসী।

গত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার প্রথমে দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকা এরপর আরও কয়েকটি দৈনিকে এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারসহ আরও ২টি গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি থাকায় ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়। এক মাসেরও বেশি দিন পার হয়ে গেলে ও অবস্থার কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।

০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল, কলেজ ও এলাকার মানুষের আস্থা এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতি বেড়ে যাওয়ায় রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে যথাযথ চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সবাই নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র কর্মরত ফার্মাসিস্ট গোলাম রহমান কে শুণ্য পদ গুলোতে নিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ সকল বিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বারাবার অবহিত করছি। আমাকে আশ্বস্থ করেছেন এবং বলেছেন চলমান সর্বশেষ বিসিএস ব্যাচ থেকে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ প্রদান করবেন। প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসে অভয়নগরের অক্সফোর্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এর ২জন শিক্ষার্থী কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় তারা ফিরে যায়। একই সময়ে জঙ্গলবাঁধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪জন ছাত্রী একই সাথে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে। তারাও যথাযথ সেবা না পেয়ে ফিরে যায়। এভাবেই প্রতিনিয়ত ফিরে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মানুষের হতাশা ভোগান্তিতে রূপ নিচ্ছে। নিরাশ হওয়া উপস্থিত কয়েকজন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের সাথে কথা বলে জানা যায় ইতিপূর্বে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সব ধরনের রোগের সু-চিকিৎসা পাওয়া যেত, কেউ বঞ্চিত হতনা। তারা স্বাস্থ্য সেবার বর্তমান কার্যক্রমে সমালোচনা ও হতাশা প্রকাশ করেন। জনাব গোলাম রহমান বলেন বার্ষিক ১লক্ষ ৭০হাজার টাকার ঔষধ এস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ থাকে। অবস্থার উন্নতি হলে রুগী বাড়বে এবং ঔষধের চাহিদাও বেড়ে যাবে। এলাকার সচেতন ও সর্ব স্তরের মানুষের একান্ত দাবি যেন অতি দ্রুততার সাথে মানবতার কল্যাণে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শুণ্য পদ পূরণ করেন যথাযথ কর্তৃপক্ষ।

Please follow and like us: