যশোরে এক ক্লিনিক দালালের খপ্পরে পড়েছেন রোগী 71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ক্লিনিক দালালের খপ্পরে পড়েছেন নুর জাহান খাতুন(৩২) নামে এক গৃহবধু। এ সময় চিকিৎসকের ফি ও পরীক্ষা বাবদ ২২শ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে ল্যাবজোন স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল  এ ঘটনা ঘটে। তিনি চৌগাছা উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের হামিদ উল্লাহর মেয়ে।

ভুক্তভোগী রোগীর অভিযোগে জানান, শনিবার সকাল নয়টার দিকে তিনি যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালের বহিঃবিভাগে পাঁচ টাকার টিকিট কেটে নাক, কান ও গলা বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন।

এ সময় টিকিট কাউন্টার থেকে তাকে একশ’ ছয় নাম্বার কক্ষে যেতে বলা হয়। পরে তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কক্ষের সামনে সিরিয়ালে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃত দালাল হাসু তাকে জানান, আজ(শনিবার) ডাক্তার হাসপাতালে রোগী দেখবে না। ডাক্তার দেখাতে হলে ব্যক্তিগত চেম্বারে যেতে হবে।

তিনি সরল মনে দালাল হাসুর সাথে হাসপাতালের পশ্চিম পাশের তিন নম্বর গেটের সামনে ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। সেখানে দালাল হাসু নাক, কান ও গলার চিকিৎসকের পরিবর্তে মেডিসিনের চিকিৎসকে দেখিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডাক্তারের ফিস ও বিভিন্ন পরীক্ষা বাবদ ২২শ’ টাকা হাতিয়ে নেন। দুপুর সাড়ে ১২ টায় তিনি হাসপাতালে আসলে অন্য রোগীদের কাছে জানতে পারেন নাক, কান ও গলা বিভাগের ডাক্তার রোগী দেখছেন। তার সাথে ক্লিনিকে দালাল হাসু প্রতারণা করেছে। হাসপাতালের নৈশ প্রহরি মো: শরিফুল জানান, প্রতারনার শিকার নুর জাহান আমার বোনের ননদ তিনি আমাকে খুজছিলেন কিন্তু দালাল রোগিকে আমার সাথে কথা বলার নাটক করে ল্যাবজোনে নিয়ে যায়। রোগির স্বজনেরা জানান, ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক এম এম আলি রোগি দেখে ২শ টাকা ফি নিয়েছেন এবং ২ হাজার টাকার পরিক্ষা নিরিক্ষা করিয়েছেন । শুধু তিনি নয়, তার মতো একাধিক রোগী ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, মৌখিক অভিযোগ রোগী জানিয়েছেন। কিন্তু ক্লিনিকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করার কিছু নেই।

প্রশান করলে করতে পারেন। দালাল নিধনের জন্য হাসপাতালে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত আছে।

Please follow and like us: