যশোর সদর উপজেলার জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক’রা বিনাবেতনে অবসরে কি অপরাধ তাদের? -71News24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

 

শেখ গফ্ফার রহমান,যশোর  প্রতিনিধিঃ

বড় আক্ষেপ করে একথাগুলো বললেন ১ জাুনুয়ারী ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত  নন-এমপিও যশোর-সদর উপজেলার ১৫ নাম্বার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা জয়ান্তা গ্রামের জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

যশোর সদর উপজেলার ১৫ নাম্বার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের  জয়ান্তা গ্রামের ২০০৫ সালে জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নবম দশম শ্রেণী পাঠ দানের অনুমতি পেলেও আজও  নবম-দশম শ্রেণী এমপিওভুক্ত হয়নি।

অনুমতি প্রাপ্তির পর থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ভাল ফলাফল করে।

এবার ২০১৯ সালে জেএসসি পরিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৫৭ জন এবং ২০২০ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে ৪০ জন।

প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ার কারনে এখানকার অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা তেমন উন্নতি হয়নি।

যে কারণে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলের ফিসের টাকার যোগান দিতেই হিমসিম খেতে হয়।

নবম-দশম শ্রেণীতে উন্নতির পর নিযুক্ত তিন চারজন শিক্ষক ১৮ বছর ধরে  বিনা বেতনে চাকরী করে আসছেন।

এরই মধ্যে কোন কোন শিক্ষের অবসরে যাওয়ার বয়স হয়ে এলো প্রায়।

বর্তমান সরকারের শিক্ষাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে ইতিমধ্যে হাজার হাজার রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজার হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সরকারীকরণ এবং সম্প্রতি প্রায় তিনহাজার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সময়ে অত্যন্ত স্বচ্ছ পদ্ধতিতে এমপিওভুক্তির তালিকা করা হয়েছিল বলে শুনাগেলেওএর ভিতরে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে এমন কি সাইনবোর্ড সর্বচ্চ বিদ্যালয়ও এমপিওভুক্তি হয়েছে।

এমপিওভুক্তি হবার যে সকল শর্ত দেয়া হয়েছে প্রত্যন্ত গ্রামের অনেক বিদ্যালয়ের পক্ষে সর্বদা এই শর্তগুলি পরিপূর্ণ করা কিছুটা কঠিনও জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মত বাংলাদেশ আরও শত শত মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে যা এমপিওভুক্তি হয়েছে।

যারা অল্পের জন্য সরকারের শর্ত পরিপূর্ণ করতে পারে না তার পরও সে সকল দেখা যায় কখনো ছাত্র সংখ্যা ভালো থাকে তো ফলাফল একটু খারাপ হয় আবার ফল ভালো হয় কিন্তু  ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা একটু কম থাকে।

বর্তমান জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে  ২১৩ জন।

এক্ষেত্রে বর্তমান  সরকার যেমন হাওর বাওর এলাকার  শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে বেশি সংখ্যক স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তি করেছে।

ঠিক তেমনি এ প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিকেও একটু বিশেষ বিবেচনায় নেয় এবং এ সকল প্রতিষ্ঠানের বয়স, ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থা, শিক্ষকদের পরিণতি এগুলি সার্বিকভাবে বিবেচনা করে তাহলে জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির অগ্রগামী।

এখানকার ভৌগলিক অবস্থান ,পারিপার্শ্বিক পরিবেশ  সবই একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য উপযোগী। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ ৮৮ যশোর ৪ আসনের পরপর তিনবার নির্বাচিত বাবু রনজিত কুমার রায়ের সু-নজরের জন্য অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকাবাসি জোর দাবী জানিয়েছেন।

Please follow and like us: