স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যেন স্বাধীনতার মান বজায় থাকে —-মো:নাজিম উদ্দীন

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

একাত্তর ডেস্ক : এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিনতা উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কাদের জন্য ? স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার/বিনোদনের জন্য নাকি এলাকার মানুষের জন্য? প্রাইভেট স্কুল গুলিতে এসব নাই। সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্রকরে ১৫ দিনের খেলাধুলার মহড়া চলে তারপর ২/৩ দিন ব্যাপি ফাইনাল……।

স্বাধিনতা দিবসের গুরুত্ব বোঝাতে এবং স্বধিনতার আনন্দে পুলকিত হয়ে খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে এভাবে ২০ দিন পড়াশুনা বাদ দিয়ে তবুও যদি কিছু পেতাম আমরা খুবই ভাল হত।সন্ধ্যার পর জমে উঠে আসল অনুষ্ঠান।স্কুলের বাচচাদের গান নাচ ইত্যাদির পাশাপাশি বহিরাগত শিল্পিদের পরিবেশায় বাচচাদের খুশি করতে ম্যাচিউর্ড গানের নামে ডিজে ডিজে হয়ে যাচ্ছে…। কোনো স্কুলের স্বাধিনতা উযযাপন যদি বিচার বিশ্লেষন করা হয় দেখা যাবে তা ১% ছাত্র ছাত্রীদের কল্যানে আর ৯৯% অপ্রয়োজনীয় অংশে ভরা। সময়,অর্থ,শ্রম ব্যায়ের পরিমান অনুযায়ী প্রাপ্তি শুন্য। কোনো কোনো প্রোগ্রামে ছাত্র ছাত্রীদের চেয়ে আমন্ত্রীত অতিথি বেশি । অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আদায় লক্ষ্য করার মত। অপসংস্কৃতি আর বিজাতীয় সংস্কৃতিই এসব অনুষ্ঠানের মুল আকর্ষন । শিক্ষামুলক কিছু নাই,কুশিক্ষার উপাদানের অভাব নাই। কোথায় নিয়ে যাচ্ছি আমার আমাদের কোমলমতি বাচচাদের?

সময় এসেছে সরকারের স্বাধিনতা দিবস পালনের নীতিমালা দেওয়া উচিত। সেখানে উল্ল্যেখ থাকতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের কি কি করানো যাবে আর কি কি থেকে দূরে রাখতে হবে।

 

 

লেখক ….

ইংরেজি প্রভাষক 

   পদ্মবিলা ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা, যশোর

মো:নাজিম উদ্দীন

 

Please follow and like us: