হে! প্রভূ তুমি রক্ষা করো : গাজী শহিদুল ইসলাম

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

হে! প্রভূ তুমি রক্ষা করো : 
গাজী শহিদুল ইসলাম

আজ কোনো মিছিল হচ্ছেনা….
জনশূন্য রাজপথে নেই কোনো প্রতিবাদী বলিষ্ঠ স্লোগান।
অথচ বিশ্বজুড়ে লাশের স্তুপ।
মৃত্যুর মিছিলে কার কখন ডাক এসে যায়,
এমন আতংকে দিশেহারা হয়ে, নেতা থেকে কর্মী পর্যন্ত সকলেই নিজ ইচ্ছায় গৃহবন্দি।

এই তো সেদিন-
কর্মচারীর স্বজনের অসুস্থতার সংবাদে টেবিলের উপর ছুটির দরখাস্ত দেখে,
বড় সাহেবের সুন্দর মুখখানা তেঁতুলপাতা পোড়া ছাইয়ের মতো হয়েছিলো।

কিন্তু কি আজিব ব্যাপার!
প্রতিষ্ঠানের মালিক নিজেই ঘোষনা করে দিলেন-
আজ থেকে অনিদৃষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
দিন এনে দিন খাওয়া মানুষটির স্ত্রী-সন্তানেরা
লোকটির মুখোমুখি দাড়িয়ে, হাত জোড় করে বলছে-
প্রয়োজনে আমরা না খেয়ে থাকবো
তবুও তুমি কাজের সন্ধানে বাহিরে যেওনা!

অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এই সন্তানেরাই
দিনমজুর বাবাকে ধমক দিয়ে বলতো-
“আমরা লেখা পড়া করি, আমাদেরকে মাছ মাংস ছাড়া ভাত দিতে তোমার লজ্জা করেনা?
এই তো সেদিনও পত্রিকার পাতায় দেখেছি
জাত-গোত্র,ধর্ম-বর্ণ নিয়ে মানুষে মানুষে
তুমুল দন্দ, জ্বালাও পোড়াও খুন জখমের মহাসমারোহে ভেসেছিলো বিশ্ব।

আর আজ! সব ভুলে গেছে নিজেদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে।
বেশ্যালয়ের দড়জা বন্ধ করে দিয়েছে সর্দারনী।
খদ্দেরের কথা ভুলে যেয়ে
পতিতাবৃত্তি করা মানুষগুলোয় বন্ধ ঘরে স্রষ্টাকে রাজি খুশী করতে ধর্মিয় কাজকর্মে সময় পাড় করছে এখন।

কি অদ্ভূত ব্যাপার!
বাজার,দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমন কি হাসপাতালগুলোতেও শুনশান নিরবতা ।
অফিস আদালতে মানুষের কোনো ভীর নেই।
ফুটপাতে থাকা মানুষেরাও ভয়াবহ ভাইরাস “করোনা” থেকে মুক্তি পেতে বন্দি জীবন যাপনে ব্যস্ত।
তারা খুঁজে বেরাচ্ছে লতাপাতায় মোড়ানো
কিংবা পরিত্যক্ত রেলবগির ভীতরে একখন্ড জেলখানা ।

পাষান নির্দয়া ভাইরাস”করোনা”থেকে রক্ষা পেতে পিতা-মাতা,ভাই-বোন,বন্ধু-স্বজন
যে যার মতো ব্যস্ততায় পার করছে প্রতিমূহুর্ত,
সম্ভাবনাময় দেশগুলো থমকে দাড়ালো মাঝপথে।
হে! স্রষ্টা দয়াময় –
রক্ষা করো তোমার সৃষ্টিত মানবকুল, জীবননাশক ভাইরাস “করোনার”র ছোবল থেকে।

 

রাজ পথিকের ওয়াল থেকে নেয়া

Please follow and like us: