যশোরের শার্শা উপজেলায় এক ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর নাম জাহিদুল ইসলাম (৩২)। উপজেলার নাভারন ইসলামপুর গ্রামে গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে হত্যা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নাভারন ইসলামপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে পুলিশ তাঁর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত জাহিদুল ইসলাম বেনাপোল বন্দর থানার নারায়ণপুর গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে। রাতে জাহিদুল ওই গ্রামে পাওনা টাকা আনতে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জাহিদুল ইসলামের চাচা আবদুল আলীম জানান, জাহিদুল বেনাপোলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেঁজুতি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক ছিলেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য তিন বছর আগে তিনি উপজেলার নাভারন ইসলামপুর গ্রামের সুমি খাতুনকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। টাকা নিয়ে বিদেশ না পাঠিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন সুমি খাতুন। গতকাল রাতে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে সুমি খাতুন জাহিদুল ইসলামকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। পরে জাহিদকে বাথরুমে আটকে রেখে বুকে ছুরি মেরে তাঁকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশটি বস্তাবন্দী করে পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে দেওয়া হয়।
জাহিদের বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাননি। একপর্যায়ে তাঁরা বিষয়টি শার্শা থানার পুলিশকে জানান। সুমি খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একপর্যায়ে তিনি জাহিদকে খুনের কথা স্বীকার করেন। আজ সকালে পুলিশ গ্রামের কলাবাগান থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন, পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে জাহিদুল ইসলামকে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। হত্যায় জড়িত অন্যদের আটক করার চেষ্টা চলছে।