একাত্তর ডেস্ক : রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মাসুরা খাতুন (১৫) বিনা চিকিৎসায় এক স্কুল ছাত্রী ৩ বছর ধরে শয্যাশায়ী। এখন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে শিশু মাসুরা। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। অর্থের অভাবে তিন বেলা খাবারও ঠিকমত মেলে না।
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না রিক্সা চালক বাবা। মাসুরার মা ফতেমা বেগম (৩০) তিনিও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দের বছর ঘরে পড়ে আছে।
তার শরীর শুকিয়ে জীর্ণশীর্ণ। ঘরের চৌকিতে শুয়েই নিজের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এ প্রতিবেদককে মাসুরা বলেন, সূর্য্যনগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার এ অবস্থা হয়। আমার বাবা একজন রিক্সা চালক গরীব মানুষ আমার চিকিৎসা করাতে পারছেনা অর্থের অভাবে। বিছানায় পড়ে থাকতে ভালো লাগে না। আমি সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে যেতে চাই। মাসুরা কান্না জনিত কণ্ঠে বলেন আপনারা আমারে সুস্থ করার ব্যবস্থা করে দেন। আমি আপনাদের জন্য দোয়া করবো যত দিন বেচেঁ থাকবো।
এমন অবস্থায় তাদের দুজনের চিকিৎসা করাতে যে টাকা প্রয়োজন সেটা তার রিক্রা চালক পিতা বাচ্চু সরদারের এর পক্ষে যোগার করা সম্ভব না।
বাচ্চু সরদার( ৩৮)বলেন,ডাক্টাররা বলেছে মেয়েটার চিকিৎসা করাতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার প্রয়োজন।ওর এখন যে অবস্থা তাতে তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করালে ভালো হবে। কিন্তু সেই টাকা যোগাড় করার সামর্থ্য আমার নেই।
অন্যের জায়গায় থাকি। ভাড়ায় রিক্সা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে কোন মতে খাওয়া-পরাটা চলে। বাচ্চু সরদার আরো বলেন,মাসুরা ৩ বছর আগে পেয়ারা পাড়ার জন্য গাছে উঠলে সে গাছ থেকে পড়ে যায়।এতে ওর পিঠের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলে । কিন্তু টাকার অভাবে করাতে পাড়ি নাই। ৬-৭ মাস পর থেকে সে আস্তে আস্তে হাঁটতে পারতো, স্কুলেও যেতে পারতো। পরে একটা সময় তার চিকুন গুনিয়া রোগ হয়। পড়ে তার যেখানে হাড় ভেঙ্গে যায় সেখান থেকে বেঁকে যায়।
এবং শরীলের ভাঙ্গা স্থানের পর থেকে পাঁ পর্যন্ত তার শক্তি হারিয়ে যায়। তারপর থেকে বিছানাতেই সব সময় পড়ে থাকে চলা ফেরা করতে পারে না।
তার উপর আবার ওর মা দের বছর যাবত অসুস্থ। তার হাতে ঘাঁ হয়েছে এবং পায়ের সমস্যার কারণে হাঁটা চলা স্বাভাবিক না।সেও ঘরেই পড়ে থাকে ।তাই আমার পক্ষে দুজনের চিকিৎসা করা সম্ভব না।তাই আমি ওদের চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সাহায্য চাই। এরই
মধ্যে তাদের পাশে দাড়িছে রাজবাড়ী টুডে বার্তা সম্পাদক খন্দকার রবিউল ইসলাম।
মাসুরাদের কেউ সাহায্য করতে চাইলে তার পিতা বাচ্চু সরদারের ০১৭৭১৬৯৬৪৮৮ যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলাম ফোন : ০১৭১২০৮৪৮৭৬
সুত্র : রাজবাড়ী টুডে/