রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় ৪টি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার নির্দেশ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের -71News24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

শেখ গফ্ফার রহমান, একাত্তর নিউজ ২৪. ডেক্সঃ

রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় চারটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।

আজ ২৩ জানুয়ারী ২০২০ (বৃহস্পতিবার) নেদারল্যান্ডসের​ রাজধানী দ্য হেগে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টায় আইসিজের প্রধান বিচারপতি আবদুল কাভি আহমেদ ইউসুফ এই আদেশ ঘোষণা করেন।

আদেশে বলা হয়, রাখাইনে গণহত্যায় দায়ী সেনাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, গণহত্যার আলামত নষ্ট করা যাবে না, আদেশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি জানিয়ে চার (০৪) মাসের মধ্যে  প্রতিবেদন  জমা দিতে হবে মিয়ানমারকে, একই সঙ্গে রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মিয়ানমারের আপত্তি নাকচ করে  দিয়ে গাম্বিয়ার করা মামলা চলবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত এই আদালত।

পাশাপাশি আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, গাম্বিয়া স্বনামে এই মামলা করেছে। এতে দেশটির মামলা করার অধিকার ক্ষুন্ন হয় না। মিয়ানমারের বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপত্তিও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

এর আগে আদেশ ঘোষণার শুরুতে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলার পক্ষেরোহিঙ্গা নিপীড়ন ও গণহত্যার যেসব আলামত আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেসব বিরোধের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি ইউসুফ।

আদালত বলেছেন, গণহত্যা সনদের ২ নং ধারা অনুযায়ী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

বৃহস্পতিবার মামলার আদেশ ঘোষণায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চএই আদালত বলেছেন, গণহত্যা সনদের ৪১ ধারার আওতায় তিনটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশেরশর্তসমূহ বিরাজ করছে। গাম্বিয়া সংখ্যালঘু এই গোষ্ঠীর সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী যেসব ব্যবস্থার আদেশ চেয়েছেঃ সেগুলোর প্রথম তিনটির লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

গত নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশ গাম্বিয়া।

এরপর গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর ৩ দিনব্যাপী নেদারল্যান্ডসের হেগে ওই মামলার শুনানি হয়। এতে মিয়ানমারের পক্ষে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি অংশ নেন। সে সময় তিনি রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানকালে কিছু সেনা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন অং সান সু চি।

Please follow and like us: