একাত্তর ডেস্ক : সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে না সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে।
গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে না ।
এনজিওগ্রামের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে।
তাকে বিদেশ নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকরা।
ওবায়দুল কাদেরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেয়া হবে, সেই প্রস্তুতি চলছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অসিত বরণ অধিকারী বলেন, ওবায়দুল
কাদেরের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এখনও
তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে উনাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাঁকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছি। আশা করছি, তাঁকে সহসাইরসিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে পারব।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদেরর সর্বশেষ পরিস্থিতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
অধ্যাপক কনক কান্তি বলেন, উনার মেইন আর্টারিতে ব্লক ছিল, সেটা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে, তারপররবলা যাবে বাইপাস সার্জারি করা দরকার হবে কি না।
জানা যায় ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ করেই
কাদেরের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
অবস্থার দ্রুত অবনতিরহতে থাকলে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে আসেন তার স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান পরে সাংবাদিকদের বলেন, উনি আসার সঙ্গে সঙ্গে সিটি স্ক্যান করা হয়েছ।
তখন রক্তচাপ স্টেবল ছিল না,নআমরা সেটা স্টেবল করেছি।
এই চিকিৎসক বলেন, এনজিওগ্রামে ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
এর মধ্যে একটি আর্টারি থেকে ব্লক অপসারণ করা
হয়।
যে কোনো মুহূর্তে উনার অবস্থা অবনতির দিকে যেতে পারে।
এ কারণে তাকে বাইরে পাঠানোর কথা আমরা বলেছি।
আমাদের এখানেও ভালো চিকিৎসা হয়।
হবে উন্নত চিকিৎসার যেহেতু শেষ নেই, সে কারণেই বিদেশে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উনি ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে আছেন।
২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এনে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।