https://urlz.fr/nA7j

যশোর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাটি বিক্রির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

যশোর সদর উপজেলা ভাইস্ চেয়ারম্যান  নরেন্দ্রপুরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বেআইনীভাবে মাটি বিক্রির অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি:

যশোরে একটি পেপার মিলস্ কোম্পানির লিজ দেওয়া জমি থেকে প্রতারণা করে বেআইনিভাবে জমি হতে হাজার হাজার গাড়ি মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ ও সদর উপজেলা ভাইস্ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে।

 

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পেপার ট্রি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, এবং ডাবল এ ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক কোম্পানি লিমিটেডের কনসালটেন্ট এবং ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শুভাশিস সাহা।

https://urlz.fr/nA7j

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শুভাশিস সাহা জানান, পেপার ট্রি বাংলাদেশ কোম্পানি ২০১১ সালে যশোরের হাটবিলা নরেন্দ্রপুর অন্তর্গত ২৪ বিঘা জমি ক্রয় করে, জমিটি ক্রয়ের পরে  কোম্পানি প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করে জমির ভিতরে একটি কংক্রিট রাস্তা ও জমির ভিতরে উঁচু নিচু স্থান মাটি ভরাটের কার্যক্রম করে। পরবর্তীতে সরকারিভাবে জমিটি বাণিজ্যিককরণ অনুমোদন করে নেয়, কিন্তু কোম্পানি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে জমিটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ও পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এমতাবস্থায় যথাযথ সংরক্ষণের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে জমিটির চারিপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্যে আরসিসি পিলার, কাটা তারের বেড়া দ্বারা এবং জমিতে প্রবেশের গেইট স্হাপন, একটি অফিস ঘর, টিউবওয়েল এবং বাথরুম স্হাপনও করা হয়। একই সময়ে জমিতে উঁচু-নিচু জায়গাগুলো সমান্তরাল করার জন্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মাটি ক্রয় করি। এ সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রমে সর্বমোট ২০ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। একই সময়ে উন্নয়ন কার্যক্রমে করে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিয়ে জমিটি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

 

কোম্পানির ব্যবস্থাপক পরিচালক শুভাশিস সাহা অভিযোগ করেন, যশোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান  আনোয়ার হোসেন বিপুল ও সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  রাজু আহমেদের সাথে তার মৌখিকভাবে জমিটি কৃষিকাজ ও মৎস চাষ করার জন্য আলাপ-আলোচনা হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের মে মাসে ১০ টি শর্তে একটি জমি ভাড়ার চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হন। শর্ত অনুযায়ী কৃষি খামার ও মৎস্য চাষের জন্য নিজস্ব অর্থ বিনিয়োগ করার কথা। কিন্তু বিনিয়োগ না করে তার পরিবর্তে এবং লিজকে ব্যবহার করে প্রতারণা করে, বেআইনিভাবে জমি হতে   ২০ লক্ষাধিক টাকার মাটি কেটে একের পর এক বিক্রি করে কোম্পানির সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে চলছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও শর্তের পরিপন্থী।

 

এ সময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরেও তিনি কোন সহায়তা পাননি। বরং তাকে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।

Please follow and like us: