শিক্ষকদের অবসরের বয়স হলেও এমপিও ভুক্ত হয়নি স্কুলটি

নাজিম,বসুন্দিয়া,যশোর : বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোরের ১৫ নং বসুন্দিয়া ইউনিয়নের ১৯০০ ভোটার সহ প্রায় ছয় হাজার মানুষের একটিই দাবি- আমাদের “জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি” এমপিও ভুক্ত করা হোক।বসুন্দিয়া মোড় থেকে ইটের সলিং বেয়ে ৩ কিমিঃ গেলে চোখে পড়ে প্রাকৃতিক অপরুপ দৃশ্যের লীলাভুমি জয়ান্তা।স্কুলটির সামনে বিশাল খেলার মাঠ যার চারিপাশে গ্রাম্য চোখ জুড়ানো পরিবেশ।গ্রামে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা থাকায় এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী সংকট নাই।১৯৮৬ সালে নিম্ন মাধ্যমিক হিসেবে চালু হয়ে ২০০১ সালে স্কুলটি মাধ্যমিকের সীকৃতি পায়।সেই থেকে প্রতি বছর এখান থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা নিয়মিত এস এস সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে মান সম্মত ফলাফল ধরে রেখেছে। এখানকার ছাত্র ছাত্রীরা গ্রামের সাধরন খেটে খাওয়া মানুষের সন্তান হওয়ায় বেতন দিয়ে পড়ালেখা করা তাদের জন্য কষ্ট সাধ্য তাই শিক্ষকদের বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হচ্ছে।একদিকে ছাত্র বেতন নাই অন্যদিকে সরকারী বেতন না থাকায় দীর্ঘ ১৮ বছর সেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এখানকার মাধ্যমিকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরা।অনেকের অবসরের অর্ধেক বয়স পার হয়েছে তবুও বেতন পাননি যা সত্যিই অমানবিক।

বিভিন্ন সময়ে এমপিও ভুক্তির সরকারী বিধি মোতাবেক চেষ্টা ও হয়েছে কিন্তু যথাযতভাবে যোগাযোগ এবং প্রভাবশালী ব্যাক্তির সুপারিশ না থাকায় সে চেস্টা সফল হয়নি।গত দশ বছর প্রতিষ্ঠান্ টি নতুন আশায় বুক বেধে ছিল যে শিক্ষাবান্ধব এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি নিশ্চয়ই পড়বে এখানে।সে আশাতে এখনও পথ চলেছে এই এলাকার মানুষেরা।প্রতিষ্ঠান্ টির শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে সাম্প্রতিক্ কালে গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ আলোকিত জয়ান্তা” একটি লাইব্রেরী এবং একটি মসজিদ নির্মান করেছে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য।


স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল একজন অত্যান্ত শিক্ষানুরাগী মানুষ।তিনি নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন স্কুলটিকে।উনার সহযোগিতায় হ্যাট্রিক জয়ী অত্র এলাকার মানুষের নয়নের মনি মাননীয় সংসদ সদস্য বাবু রনজিত কুমার রায়ের হাত ধরে জরাজীর্ন অবকাঠামোর এবং এলাকার জন্য অপরিহার্য জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হোক এটাই এই এলাকার মানুষের প্রাণের চাওয়া।উল্লেখ্য জয়ান্তা গ্রামের পার্শবর্তী ৩/৪ টি গ্রামেও কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাই।সুতরাং স্কুলটির গুরুত্ব অপরিসীম।
সাধারন মানুষ তাদের সন্তানদের বাইরে পাঠিয়ে বা রেখে পড়াতে সক্ষম নয়।দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।শিক্ষা ছাড়া উন্নতি বাধাগ্রস্থ হয়।বংগবন্ধুর সোনার বাংলায় এই এলাকার মানুষের অবদান থাকুক।এই এলাকার প্রতিটি ছেলে মেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।কুসংস্কারমুক্ত সমাজ তথা দেশের জন্যই জয়ান্তার মানুষ শিক্ষা চায়।তাদের এই চাওয়া পুরণ হোক এই প্রত্যাশা রইল।

Please follow and like us: