সামান্য ভুলের কারনে বড় ধরনেরক্ষতি হতে পারে তাই মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে সাবধানতা অবলম্বন করি: ডা: উম্মে সালমা, বাড়ডেম হাসপাতাল

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর। তাই প্রয়োজন মোবাইল ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা। কারণ মোবাইল ফোন আমাদের অজান্তেই ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করছে। আসুন, আমরা সে বিষয়ে একটু সতর্ক থাকি।

১। দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না। এক নাগাড়ে পনের মিনিটের বেশি কথা বলা কোনভাবেই উচিৎ নয়।

২। দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে স্পিকারে বা হেডফোনে কথা বলুন। আপনার সেটটি শরীর থেকে দুই-তিন ইঞ্চি দূরে রেখে কথা বলুন। বাসায় বা অফিসে যদি ল্যান্ডফোন থাকে তাহলে ল্যান্ডলাইনে কথা বলুন, তবে হ্যান্ডসেটে ( তার বিহীন) নয়।

৩। যখন মোবাইল ফোনের সিগন্যাল দুর্বল থাকবে বা ব্যাটারির চার্জ কম থাকবে তখন মোবাইল ব্যবহারে বিরত থাকুন।

৪। যানবাহন ( কার, বাস, ট্রেন, প্লেন) এবং লিফটে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিরত থাকুন। কারণ ধাতব বস্তুর নিকটবর্তী থাকলে রেডিয়েশনের মাত্রা বেড়ে যায়।

৫। পকেট বা শরীরের সংস্পর্শে মোবাইল ফোন না রেখে ব্যাগে রাখুন ।

৬। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দিবেন না। বিশেষ করে যাদের বয়স আঠারো বছরের কম।

৭। মাথার পাশে মোবাইল রেখে ঘুমাবেন না। কমপক্ষে কয়েকফুট দূরে রাখুন। যদি ফোনে এলার্ম সেট করতে চান এয়ারপ্লেন মুডে রাখুন।

৮। ল্যাপটপ বা ট্যাবে কাজ করার সময় টেবিলে বসে করুন। কোলে বা বুকের ওপর কখনো রাখবেন না।

৯। মোবাইল ফোন চার্জে থাকা অবস্থায় কখনো ব্যবহার করবেন না।

১০। ওয়াইফাই রাউটার আপনার বেডরুম বা যে রুমে আপনি বেশীরভাগ সময় কাটান তা থেকে দূরে রাখুন এবং রাতের বেলায় বন্ধ রাখুন।

১১। অন্ধকারে মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহারে বিরত থাকুন। কারণ অন্ধকারে মনিটর থেকে যে রশ্মি নির্গত হয় তা আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকর।

১২। যদি মোবাইলে কোন ভিডিও বা মুভি দেখতে বা গান শুনতে চান তাহলে আগে ডাউনলোড করে নিন। পরে এয়ারপ্লেন মুডে উপভোগ করুন।

১৩। শিশুরা যদি মোবাইল বা ল্যাপটপে গেম খেলতে চায় তাহলে এয়ারপ্লেন মুডে সেট করে দিন।

উল্লেখ্য, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য আরও অনেক জিনিস আছে যা থেকে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ বা রেডিয়েশন নির্গত হয়। যেমন: মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এলইডি টিভি, এলইডি লাইট, রিমোট কন্ট্রোল, রেডিও ইত্যাদি। কাজেই এই জিনিশগুলো ব্যবহারেও আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

লেখক: ডা. উম্মে সালমা, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল।

Please follow and like us: