একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রয়েছে।
একদশ সংসদ নির্বাচনে চার হাজারের মতো ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও ৩০০টি আসনে আড়াইশ জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করছে আওয়ামী লীগ; ৫০টির মতো আসন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে জোট শরিক বিভিন্ন দলকে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার উদ্দেশে ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের প্রায় সবারই ত্যাগ ও অবদান রয়েছে। রাজনীতিক ত্যাগ, দক্ষতা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে প্রায় প্রত্যেকটি আসনেই ছিল একাধিক যোগ্য প্রার্থী।
একাধিক আবেদনকারীর মধ্যে থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করার কাজটি ছিল অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দলীয় প্রার্থী বাছাই করায় আপনাকে মনোনয়ন দিতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক দলে পরিণত করার জন্য আপনার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও দেশের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকার জন্য আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন।
আপনার শ্রম আন্তরিকতা সব কিছুই আমার বিবেচনায় আছে।
আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই নির্বাচনেও জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন সম্ভব বলে আমি মনে করি।
আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবন্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারও নেই।’