গাজীপুরে নতুন সাংসদ মুহম্মাদ ইকবাল হোসেন সবুজ

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

গাজীপুর সংবাদদাতা ;   গাজীপুর জেলায় সংসদীয় আসন মোট পাঁচটি। এর মধ্যে চারটিতে আগের এমপিরা নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-গাজীপুর সদর উপজেলার অংশ বিশেষ) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন মুখ। তিনি হলেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৃণমূল জনতার কাছে উঠান বৈঠকের রূপকার হিসেবে আখ্যা পাওয়া মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।এ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের নৌকা প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩’শ ২০ এবং ঐক্য ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের ইকবাল সিদ্দিকীর প্রাপ্ত ৩৭ হাজার ৯’শ ৮৬ ভোট।সংসদ নির্বাচনে টানা ছয়বার এ আসনটিতে বিজয়ী হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী। ৬ষ্ঠবার সংসদ সদস্য থাকাকালে সংসদীয় এলাকায় তার প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরই ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট মো. জামিল হাসান দুর্জয়। তিনিও ২০১৮-এর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তৃণমূল জনমত জরিপে তার অবস্থান ছিল নেতিবাচক।অপরদিকে, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত জোটের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনিসহ নানা ধরণের সহযোগিতা করেন মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ। এর প্রতিদান হিসেবে তিনি ২০০৯ সালে বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর শ্রীপুরের রাজনীতিতে নানা চড়াই উৎড়াইয়ের মধ্য দিয়ে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ তার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি গাজীপুর-৩ সংসদীয় নির্বাচনি এলাকায় ৭’শ বেশি উঠান বৈঠক করে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। আর জনমত জরিপে তার অবস্থান তৈরি হয় তুঙ্গে। তিনি পেয়ে যান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের মনোনয়ন। বেসরকারিভাবে নির্বাচনি ফলাফল পেয়ে তিনি বলেন, গাজীপুর-৩ আসন হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, জবরদখল, রাজনৈতিক সহিংসতামুক্ত একটি আধুনিক উপ-শহর। প্রশাসন চলবে প্রচলিত সাংবিধানিক নিয়মে। প্রশাসনের লোকজন সাধারণ মানুষের সেবক। আমার নাম বিক্রি করে কাউকে কোনও ধরণের অনিয়ম করার সুযোগ দেওয়া হবে না। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এখন ৬ লাখ মানুষের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত, গাজীপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকের অ্যাডভেঅকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বিজয়ী হন ৪ লাখ ১ হাজার ৫৩৬ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর প্রাপ্ত ভোট ৯২ হাজার ৩৭০। গাজীপুর-২ আসনে নৌকা প্রতীকের জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ী হন ৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের সালাহ উদ্দিন সরকারের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ১ হাজার ৮৫৮। গাজীপুর-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের সিমিন হোসেন রিমি বিজয়ী হন ২ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের শাহ রিয়াজুল হান্নানের প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৫৮২। গাজীপুর-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের মেহের আফরোজ চুমকি বিজয়ী হন ২ লাখ ৭ হাজার ৬৯৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের ফজলুল হক মিলনের প্রাপ্ত ভোট ২৭ হাজার ৯৭৬।গা

Please follow and like us: