পেঁয়াজ বারি-৫, বছরের বারো মাসই চাষযোগ্য ফলণও তিনগুণ বেশি-71News24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

শেখ গফ্ফার রহমান,একাত্তর নিউজ২৪ প্রতিনিধিঃ

উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র।

 

এ পেঁয়াজ প্রচলিত জাতের চেয়ে তিনগুণ ফলনশীল। স্থানীয় জাতের চেয়ে এ পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ দিন আগে কৃষকের ঘরে ওঠে।

 

ফলে এই পেঁয়াজ এবং এর বীজ চাষে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বছরের বারো মাসই চাষযোগ্য এ জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের ঘাটতি পূরণ করে রপ্তানিও সম্ভব হবে বলে মনে করছেন এ জাতটির উদ্ভাবক।

 

জানা গেছে, তিন-চার বছর আগে এই গবেষণা কেন্দ্র

উচ্চফলনশীল বারি-৪ ও ৫ জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করে। এর মধ্যে বারি-৫ জাতটি বারো মাসই চাষযোগ্য। পরবর্তী দুই বছর পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে কৃষকের মধ্যে এ দুটি জাতের বাল্ব (চারা) সরবরাহ করা হয়।

 

কৃষক এ চারা লাগিয়ে প্রচলিত জাতের চেয়ে তিনগুণেরও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করেছেন। অধিক উৎপাদনের ফলে লাভজনক হওয়ায় এই কেন্দ্রের সহায়তা ও পরামর্শে গত মৌসুমে কৃষক এই জাতের পেঁয়াজ এবং এর বীজ ব্যাপকভাবে উৎপাদন করেছেন।

 

এ জাতের উদ্ভাবক ও মাগুরা মসলা গবেষণা কেন্দ্রের

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব, মোঃ মনিরুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বারি-৪ ও ৫ চাষে সাধারণ জাতের পেঁয়াজের চেয়ে তিনগুণ বেশি উৎপাদন হয়।

সাধারণ জাতের পেঁয়াজ প্রতি হেক্টরে হয় ৭-৮ টন।

বারি ৪ ও ৫ উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ২৭ টন।

 

এ পেঁয়াজের মান দেশি পেঁয়াজের মতোই, রোগবালাই হয় না। স্বাদ দেশি পেঁয়াজের মতো হওয়ায় কৃষক ভালো দামও পান।

 

মাগুরা সদরের নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামের জৈনক্য কৃষক বলেন, গত মৌসুমে তিনি ৫০ শতক জমিতে বারি-৪ জাতের পেঁয়াজ লাগিয়ে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তাছাড়া সাধারণ পেঁয়াজের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে ওঠায় কৃষক ভালো দামও পেয়েছেন।

এ বছর তিনি তিন একর জমিতে এ পেঁয়াজ চাষ করছেন। একই ধরনের মন্তব্য করেন মাগুরা সদরের রামনগরের একাধিক কৃষক।

 

সদরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জৈনক্য কৃষক জানান, তিনি

মসলা গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতায় এক বিঘা জমিতে বারি-৪ জাতের পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছিলেন।

ইতোমধ্যে লক্ষাধিক টাকার বীজ বিক্রি করেছেন।

নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে আরও লক্ষাধিক টাকার বীজ বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।

 

স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা নিকুঞ্জ মণ্ডল বলেন, এতদিন কৃষকরা স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ করতেন। তবে এবার কৃষিস করে লাভবান হয়েছেন।

Please follow and like us: