বেনাপোল চেকপোস্টে রেড এলার্ড : সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম যাতে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বেনাপোল প্রতিনিধি : 

বেনাপোল আন্তজার্তিক চেকপোস্ট দিয়ে যাতে ফেনির মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আপত্তিকর প্রশ্ন করে এবং তা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল আইনে মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এর ফলে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে অতিরিক্ত সতর্কতার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে বেনাপোল চেকপোস্টে রেড এ্যালার্ট জারি করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালাতে না পারে সে জন্য গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সতর্কতা জারী করছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী প্রত্যেক পাসপোর্টযাত্রীকে যাচাই বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই তাদের যাতায়াতের অনুমতি দিচ্ছে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। পাসপোর্টের মাধ্যমে ভূয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে যেন ভারতে পালাতে না পারে সে জন্য বহির্গমন ডেক্স অফিসারদের সামনে ছবি সেটে দেওয়া হয়েছে। কোন পাসপোর্টযাত্রীর নামের সাথে অপরাধী নাম মিলে গেলে তাদের ছবি ও ঠিকানা যাচাই-বাচাই করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের সব স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে বার্তা পাঠানো হয়।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আবুল বাশার জানান, স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশ এসেছে। সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন এ পথে যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে এ রকম নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পরপরই গোটা ইমিগ্রেশন এলাকায় ব্যাপক সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পাসপোর্টযাত্রীর চেহারার সাথে ছবি মিলিয়ে যাত্রীকে ভারত গমনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ইমিগ্রেশন ছাড়াও নো-ম্যান্সল্যান্ড ও আশেপাশে সতর্ক আছে পুলিশ।
সীমান্তের শার্শা ও পোর্ট থানা পুলিশও সতর্ক আছে বলে জানান পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।
উল্লেখ্য ফেনির সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে এবং তা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক। এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৭ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় গত রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। যশোরে তার বাড়িতেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌছেছে। ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

Please follow and like us: