যশোরে ব্লাকমেইল করে চাঁদা আদায় হাতুড়ে চিকিৎসকসহ এক নারী আটক-71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

রাসেল মাহমুদ,যশোর  : বহু অপকর্মের হোতা রূপদিয়া বাজারের সেই কোয়াক ডাক্তার আলমগীর হোসেন এক মহিলা সহযোগী সহ পুলিশের হাতে আটক। রূপদিয়ার এক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লাকমেইলিং করে অর্থ হাতানোর চেষ্টাই কাল হলো তার। এঘটনায় মুলহোতা আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন জনের নাম উল্লেখ পূর্বক কোতয়ালী মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)/৮(২)/৮(৭) ধারায় পর্নোপ্রাফি উৎপাদন, টাকাদাবী করিয়া মানুষিক নির্যাতন ও সহায়তা অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করেন রূপদিয়া বাজারের হিরণ সুপার মার্কেটের মালিক মৃত হাজী ফজলে করিমের ছেলে আকবর আলী।

করোনা বিজ্ঞাপন

অপর দুই আসামি হলেন বাঘারপাড়ার তেলিধ্যন্যপাড়া গ্রামের বাবুল দফাদারের মেয়ে স্বপ্না খাতুন ও যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত-আমজাদ হোসেন খানের ছেলে টুটুল খান। জানাযায়, আটককৃত ব্যক্তি যশোর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবুল হোসেন ওরপে কালা খোকনের ছেলে হাতুড়ে ডাক্তার আলমগীর হোসেন। বহুদিন ধরে চিকিৎসা সেবার আড়ালে বিত্তশীল ব্যক্তিদের অত্যান্ত সুকৌশলে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে আসছিলেন। এছাড়া নিজেকে কখনো ইন্সপেক্টর, কখনো স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবার কখনো তালাশটিমের সদস্য পরিচয়ে বিভিন্ন লোক’কে বোকা বানিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এঘটনায় ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করেন ভুক্তভুগীরা। সম্প্রতি রূপদিয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যক্তি হিরণ সুপার মার্কেটের মালিক আকবর আলী’কে টার্গেট করে আলমগীর ডাক্তারের ওই চক্রটি। এব্যাপারে আকবর আলী জানান- আলমগীর ডাক্তার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বার ০১৯১৮-৭৮১৬৯১ থেকে গত ২৯ মার্চ সকাল ১০টা ৪১ মিনিটে একবার, সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ ও ৭টা ৪৫ মিনিটে কল করে সর্বমোট ৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ড কথা বলে। এরমধ্যে বরাবর’ই দেড় লক্ষ টাকা দাবী করে আসছিলেন। দাবীকৃত দেড় লক্ষ টাকা তাকে না দিলে নারী ঘটিত ব্যাপারে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে ০১৭০৪-৫৭২৯৪৯ নম্বার থেকে আমার ব্যবহৃত ০১৭১৬-৮৬৬৪১৭ এ কল করে নিজেকে তালাশ টিমের সদস্য পরিচয় দেন। এবং বলেন আপনার ব্যাপারে আমাদের কাছে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। আমাদের সাথে আপনি সাক্ষাৎ করেন অন্যথায় এটি প্রচার করতে বাধ্য হবো। বিভিন্ন নম্বার থেকে বারবার কল আশায় বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দারস্থ হন আকবর আলী। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের অভিযানে তাতক্ষনিক আটক হয় কোয়াক ডাক্তার আলমগীর হোসেন তার অপর সহযোগী বাঘারপাড়ার তেলিধ্যান্যপাড়ার বাবুল দফাদারের মেয়ে স্বপ্না খাতুন।

Please follow and like us: