যশোরে শুক্রবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে থাকবে-71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

একাত্তর নিউজ২৪ , যশোর অফিস :

যশোরের জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধে জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, আজ শুক্রবার থেকে যশোরে মাস্ক ব্যবহার ও ১৮ দফা বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। যশোরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে যশোরসহ ৩১ টি জেলা করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
গত বছরের ১২ এপ্রিল থেকে যশোরে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার একশ’ ৫০ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে তিন হাজার দুশ’ ৩৯ জন, অভয়নগরে পাঁচশ’ ৩৯ জন, বাঘারপাড়ায় একশ’ ১১ জন, ঝিকরগাছায় তিনশ’ দু’জন, কেশবপুরে দুশ’ ৮০ জন, মণিরামপুরে একশ’ ৯৭ ও শার্শায় তিনশ’ ৩০ জন।

করোনা বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্র জানিয়েছে, যশোর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, নওগাঁ, রাজশাহীসহ ৩১ জেলা করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে একশ’ ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ২৩ জন। এছাড়া, শার্শায় পাঁচজন, অভয়নগরে দু’জন ও ঝিকরগাছায় তিনজন রয়েছে। গত আটদিনে যশোরে একশ’ ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার করোনা প্রতিরোধে যশোর জেলা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
সভায় তিনি বলেন, শহরে আসা বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেনা। কেবল ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে মাস্ক ব্যবহার করে তারা। ইতিমধ্যে যশোরবাসীর জন্য সাতটি গণবিজ্ঞতি জারি করা হয়েছে। ২ এপ্রিল থেকে মাস্ক ব্যবহার ও সরকারি ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে জেলা জুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলাম, এনএসআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর আলমগীর হোসন,সমাজসেবা উপপরিচালক অসিত কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বিএমএ যশোরের সভাপতি একেএম কামরুল ইসলাম বেনু, পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দীন প্রমুখ।
যমেক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় জানান, দ্রুত অত্যাধুনিক আইসিইউ চালু করা হবে। অক্সিজেনের মজুত বাড়াতে ইতিমধ্যে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। যমেক হাসপাতালে ৪০ ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ২৮ টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা মানছে কম। তারা মাস্ক না পরে চলাফেরা করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারদের চেম্বার করতে হবে। বিদেশ ফেরত সকলকে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে।
সকালে জেলা প্রশাসন ও করোনা প্রতিরোধ কমিটি জেলা ইমাম পরিষদ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠক করেছে।

Please follow and like us: