যশোরে পুলিশ সদস্য কর্তৃক হাসপাতাল কর্মচারী অাহতের ঘটনায় বিক্ষোভ কর্মসূচি

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

জি এম অভি : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহিঃবিভাগে টিকিট নিতে যায় পুলিশ সদস্য বুলবুল এসময়ে হাসপাতালের গার্ডের দায়ীত্বে থাকা সরোয়ার ও পরিতোশের সাথে সাইকেল রাখা নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।  অাজ সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়  সুত্র থেকে জানাযায়। প্রতিবাদে  বিক্ষোভ করেছে৷   যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের  ৪র্থ শ্রেনীর  কর্মচারিরা।
সকাল দশটা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলাকালে হাসপাতালের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘খ” সার্কেল গোলাম রব্বানি ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার ঘোষনা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হাসপাতালের প্রহরী পরিতোষ কুমার জানায়, সকালে হাসপাতালের কাউন্টারের সামনে ডিউটি করছিলেন।  সেইসময় নারী-পুরুষ মিলিয়ে তিন শতাধিক লোক টিকিটের জন্যে লাইনে ছিল। পুলিশ কনস্টেবল বুলবুল তার স্ত্রীকে নিয়ে কাউন্টারে আসেন টিকিট কাটতে।  তার সাথে থাকা বাইসাইকেল রাখেন কাউন্টারের পাশে।  সাইকেল সরাতে বলায় তিনি পরিতোষের উপর ক্ষিপ্ত হন।  তাদের দু’জনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায় হাসপাতালের স্টাফ সরোয়ার কী হয়েছে জানতে চান।  এই প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে তার উপরও চড়াও হন বুলবুল। একপর্যায় পরিতোষের হাতে থাকা লাঠি কেড়ে নিয়ে সরোয়ারকে পেটান পুলিশ সদস্য।
পুলিশের কনস্টেবল বুলবুল  বলেন, টিকিট কাটার সময় পাশে বাইসাইকেল রাখলে আমার সাথে মারাত্মক দুর্ব্যবহার করা হয়।  দু’জনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায় আমার পোশাক থেকে শোল্ডার টেনে ছিঁড়ে ফেলে তারা।  এসময় তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমি একটা বাড়ি মেরেছি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, হাসপাতালে সব সময় যানজট লেগেই থাকে।  সে কারণে কয়েকজন গার্ড দিয়ে রেখেছি।  ইতোপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযানও চালানো হয়েছে।  আজ একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।  তবে, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘খ’ সার্কেল গোলাম রব্বানী  বলেন, পুলিশ সদস্য বুলবুলকে ক্লোজ করে সদর কোর্ট থেকে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।  তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please follow and like us: