পিতা আওয়ামী লীগ নেতা ছেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

কেশবপুর যশোর: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে বৈধ সভাপতি প্রার্থী ১৫ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তালিকায় অন্যতম প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তার বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে। বড় ছেলে কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মেজ ছেলে কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। সেজ ছেলে কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ জন মনোনয়ন জমা দিলেও ১৫ জন বৈধ প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯ জন মনোনয়ন জমা দিলেও বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ৩০ জন। কেশবপুরে কাজী পরিবারের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় এখন সর্বত্র এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রাবণ ছাত্রদলের নেতা হওয়ায় আমার বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। আমরা পাঁচ ভাই ও এক বোন। সবার ছোট শ্রাবণ। মেধাবী ছাত্র। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত। রাজনীতির কারণে ১৫ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এলাকায় এসেছিল ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে। কিন্তু বাড়িতেও আসেনি।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, মুখোশের আড়ালে নিজেকে বেশিদিন লুকানো যায় না। কাজি রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। তিনি আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তার সাথে ছেলে রওনকুল ইসলাম শ্রাবণও ছিল। জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সরাসরি শ্রাবণের নেতৃত্বে তার বাবার পক্ষে ভোট করেছেন।

Please follow and like us: